চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ। যার সৃজনশীলতায় ছিলো বিচক্ষণতা, আর মানসপটে ছিলো গণতান্ত্রিকবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানবতাবাদ।
একটু একটু করে যখন আলোর মুখ দেখছিলো রুপালি পর্দা ঠিক তখন, জীবনের রানওয়ে থমকে যায় এই নির্মাতার। থমকে যান দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরও।
চলচ্চিত্র এবং তারেক মাসুদ নাম দুটি যেনো জড়িয়ে আছে একে অন্যকে। কারণ ব্যক্তি তারেক মাসুদের ধ্যান জ্ঞানে বিচরণ করতো একমাত্র চলচ্চিত্র। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা এ মানুষটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত দেখেননি কোনো সিনেমা।
অথচ তাঁর সৃজনশীলতা চলচ্চিত্র অঙ্গণকে দিয়েছে আদম সুরত, মুক্তির কথা, মুক্তির গান, নারীর কথা, নরসুন্দর, মাটির ময়না, অন্তর্যাত্রা, রানওয়ে’র মতো চলচ্চিত্র।
মানবতাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক মনোভবে আবৃত ছিলো তাঁর মানসপট। যা দৃশ্যায়িত হতো সেলুলয়েডের পর্দায়। একটু একটু করে যখন আলোর মুখ দেখছিলো রুপালি পর্দা ঠিক তখন জীবনের রানওয়ে থমকে যায় এই নির্মাতার।
একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট পুরস্কার সহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ২০১১ সালের ১৩ই আগস্ট প্রাণ হারান ক্ষণজন্মা এই নির্মাতা। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরও একই দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তাদের দুজন ছাড়াও ওই দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আরো তিনজনের।